নিজের মেয়েকেই বাড়ির মধ্যে একা পেয়ে দিনের পর দিন যৌন নির্যাতন চালাত বাবা। অভিযুক্তকে সেই ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ডের নির্দেশ দিল কন্টাই এর বিশেষ পসকো আদালত। সেই সঙ্গে ৫০ হাজার টাকা জরিমানাও ধার্য করা হয়েছে, অনাদায়ে জেলের মেয়াদ আরও কয়েকমাস বাড়বে। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব মেদিনীপুরের রামনগর থানা এলাকায়।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, রামনগর থানা এলাকায় ২০১৮ সালে এক মহিলা থানায় এসে তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ জানায়। যেখানে বলা হয়, নিজেরই ১৪ বছর বয়সী মেয়েকে বাড়িতে একা পেয়ে দিনের পর দিন তাঁর ওপর যৌন নির্যাতন চালায় তারই বাবা। এই ঘটনা জানাজানি হলে মেয়েকে প্রাণে মেরে ফেলারও হুমকি দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। তবে দিনের পর দিন অত্যাচারে জর্জরিত হয়ে অবশেষে বাবার কুকীর্তির কথা মা’কে জানায় ওই কিশোরী। গোটা ঘটনায় হতবাক মেয়েটির মা অবশেষে রামনগর থানায় স্বামীর বিরুদ্ধে লিখিত ভাবে অভিযোগ দায়ের করেন।
এই ঘটনার তদন্তে নেমে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এরপর রামনগর থানার তদন্তকারী অফিসার সাব ইন্সপেক্টর কল্যানব্রত মজুমদার অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে গোটা ঘটনার তদন্ত চালিয়ে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই আদালতে চার্জশিট জমা দেন। নির্যাতিতা নাবালিকার গোপন জবানবন্দী নেওয়া হয়। সেই সঙ্গে সাক্ষীদের বক্তব্যের ভিত্তিতে কন্টাই এর বিশেষ পসকো আদালত অভিযুক্ত বাবাকে দোষী সাব্যস্ত করেন। এরপরেই দোষী ব্যক্তিকে তাঁর কৃতকর্মের জন্য যাবজ্জীবন সাজা শুনিয়েছেন।