মাধ্যমিক পরীক্ষার ষষ্ঠ দিনে দুর্ঘটনার শিকার হয়ে এক ছাত্র রাইটার নিয়ে পরীক্ষা দিল নন্দীগ্রামে। অপর এক ছাত্রী পরীক্ষা দিতে এসে পরীক্ষা কেন্দ্রের সামনে বাইক থেকে পড়ে প্রায় দেড় ঘন্টা সংজ্ঞা হারায়। তারপরে চিকিৎসার পর স্থানীয় হাসপাতালে পরীক্ষা দিল। এছাড়া ষষ্ঠ দিনে জীবন বিজ্ঞান পরীক্ষা জেলা জুড়ে শান্তিপূর্ণভাবে হলো।
মাধ্যমিক পরীক্ষা জেলা মনিটরিং টিমের আহবায়ক সত্যজিৎ কর বলেন ভূগোল পরীক্ষা দিয়ে বাড়ি ফিরে ভাইয়ের সঙ্গে খেলতে খেলতে ডান হাত ভেঙ্গে যায় গোকুল গঞ্জের বাসিন্দা মানিক সাউ র। নন্দীগ্রাম বি এম বালিকা বিদ্যালয় পরীক্ষা কেন্দ্রে পরীক্ষা দিচ্ছিল মানিক। তার হাত ভাঙ্গায় অসহ্য যন্ত্রণায় নন্দীগ্রামের হাসপাতালে রাত্রিতেই তার অপারেশন হয়। সেই সময় বিদ্যালয় এর প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে যোগাযোগ করলে বিকল্প কোনো ব্যবস্থা করার সুযোগ নেই বলে জানিয়ে দেন প্রধান শিক্ষক। ওই ছাত্রের পরিবারের লোকেরা সত্যজিৎ বাবুর ফোন নম্বর জোগাড় করে যোগাযোগ করেন। সত্যজিৎ বাবু জানিয়েছেন দ্রুততার সঙ্গে প্রায় দেড় ঘন্টা সময়ের মধ্যে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ থেকে রাইটারের অনুমতি নিয়ে ছাত্রটিকে পরীক্ষায় বসাতে পেরে তিনি খুব খুশি। সঙ্গে সঙ্গে রাইটার জোগাড় করে পরীক্ষায় বসানো হয়।
অপরদিকে ময়নায় আসনান হাই স্কুল পরীক্ষা কেন্দ্রের পরীক্ষার্থী সোহিনি খাতুন বাইকে এসে পরীক্ষা কেন্দ্রের সামনে পড়ে গিয়ে সংজ্ঞা হারায়। তড়িঘড়ি স্থানীয় ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা করে জ্ঞান ফেরানো হয়। এই অবস্থায় পরীক্ষা দিয়েছে বলে জানা গেছে। তবে চিকিৎসক তাকে তাম্রলিপ্ত মেডিকেল কলেজ এন্ড হাসপাতালে স্থানান্তরিত করেছে। তার সিটি স্ক্যান করার প্রয়োজনীয়তা আছে বলে চিকিৎসক পরামর্শ দিয়েছেন। এছাড়া জেলা জুড়ে শান্তিপূর্ণভাবে ষষ্ঠ দিনের পরীক্ষা সম্পূর্ণ হয়েছে বলে জানা গেছে।
