পূর্ব মেদিনীপুর জেলার সমুদ্র সৈকতে গত দুই বছর আগে কবরস্থ তিমির কঙ্কাল সংরক্ষণ করতে উদ্যোগী হল জুওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া।তবে এই উদ্যোগ কার্যত ব্যার্থ বলেই প্রাথমিক সুত্রে জানা গেছে। দিনের শেষে শুধু মাত্র কঙ্কালের অংশ উদ্ধার হয়েছে বলে জানা গেছে।
২০২০ সালে জুন মাসে মন্দারমণির সৈকতে কবরস্থ সেই তিমির কঙ্কাল সংরক্ষণ করতে উদ্যোগী হল জুওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া ও দিঘা মেরিন এ্যাকুরিয়াম কর্তৃপক্ষ।
কাজ শুরু হয় সকাল ৯টা নাগাদ। উপস্থিত ছিল মন্দারমনি থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক অনুষ্কা মাইতি, প্রসাদ কুমার টুডু-দিঘা মেরিন এ্যাকুরিয়াম ইনচার্জ,জুওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া প্রতিনিধিরা,বন দপ্তরে কর্তা রা সহ অন্যান্যরা। প্রথমে ৩০ফুট লম্বা ও চারফুট চওড়া করে ৫টি জায়গায় মাটি খোঁড়া হয় । তাতেও কোনো লাভ হয়নি। এলাকার মানুষকে কাছে খবর পেয়ে ৮ফুট লম্বা কঙ্কালের অংশ পাওয়া যায় আর সন্তুষ্ট হতে হলো।

দিঘা মেরিন এ্যাকুরিয়াম ইনচার্জ প্রসাদ কুমার টুডু বলেন ,তিমির কঙ্কাল উদ্ধার করে মেরিন অ্যাকোরিয়ামে সংরক্ষণের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছিল। সে কারণে এদিন কঙ্কাল উদ্ধারের উদ্যোগ নেওয়া হয়। কিন্তু মাটি খুঁড়ে কঙ্কাল পাওয়া যায়নি । অনুমান ইয়াসের সময় সামুদ্রিক জলচ্ছ্বাসে তিমির কঙ্কাল ভেসে গিয়েছে।স্থানীয় সূত্রে খবর পেয়ে গ্রামবাসীর বাড়ি থেকে তিমির চোয়ালের একটি হাড় পাওয়া গেলো মাত্র। সাধারণত একটি তিমি মাছ পচন ধরতে ৩ থেকে ৪ বছর লাগে সময়। কিন্তু তার সাথে হাড় গুলোর ক্ষতি হতে পারে তাই আড়াই বছরের একটু বেশি সময় আমরা সংরক্ষণের উদ্যোগী হয়েছিলাম তা ব্যার্থ হলো।

মঙ্গলবার সকালে সংস্থার ২০ সদস্যের প্রতিনিধি দল মন্দারমণি সৈকতে তাজপুর মোহনার পৌঁছায়। এরপর ডেজার দিয়ে বালুতট খনন করে কঙ্কাল সংগ্রহ করার কাজ শুরু হয়।

২০২০ সালের ২০ জুন মন্দারমণি সমুদ্র সৈকতে ভেসে আসে বিশাল আকৃতি একটি মৃত তিমি। এরপর প্রশাসনের পক্ষ থেকে মন্দারমণি সৈকতের বালিতে গর্ত খুঁড়ে সেটি পুঁতে ফেলা হয়। এবার সেই তিমির কঙ্কাল সংগ্রহ করতে উদ্যোগ শুরু হল। এই তিমির কঙ্কাল দীঘার মেরিন একোয়ারিয়ামে রাখা হবে বলে জানাগিয়েছে। যাতে দর্শনার্থী ও বিজ্ঞান চর্চায় শিক্ষা নবিসদের সহায়ক হয়।সকাল থেকেই এই কাজ দেখার জন্য ভিড় জমা হয় এলাকার বাসিন্দা সহ পর্যটকদের।
