পূর্ব মেদিনীপুর জেলার কাঁথি পৌরসভা থেকে বেআইনী অর্থ লগ্নী সংস্থা সারদার ফাইল লোপাট মামলায় এবার কাঁথি পৌরসভার দুই কর্মী হরিপদ চক্রবর্তী ও ষষ্ঠী চক্রবর্তীকে
গ্রেফতার করলো কাঁথি থানার পুলিশ।সম্পর্কে সহোদর দুই ভাইকে আগামীকাল এদের কাঁথি মহকুমা আদালতে হাজির করা হবে বলে পুলিশ সুত্রে জানা গেছে।
কলকাতা আলিপুর সেন্ট্রাল সংশোধনাগারে বিচারাধীন বন্দী সারাদা কর্তা সুদীপ্ত সেন দাবি করেছিলেন জাতীয় সড়ক সংলগ্ন ধর্মদাসবাড়ে বেআইনী ভাবে
বহুতল বিল্ডিং করার জন্যে কাঁথি পৌরসভার তৎকালীন পুরপ্রধান সৌমেন্দু অধিকারীকে ৫০ লক্ষ টাকা দিয়েছিলেন । এছাড়াও পৌরসভার ক্ষমতা না থাকা
স্বত্বেও বহুতল বিল্ডিং করার অনুমতি প্রদানের জন্যে ড্রাফটে টাকা দিয়েছিলেন ।স্বাভাবিক কারনে এর জেরে চাঞ্চল্য ছড়ায়।
এরপর ২০২২ সালে ২৩ জুন কাঁথি থানায় মামলা দায়ের করেন কাঁথি পুরসভার বর্তমান পুরপ্রধান সুবল কুমার মান্না। তিনি অভিযোগ করে বলেন ” সারদা
নথির পুরসভা থেকে গায়েব হয়ে গেছে “। এমন অভিযোগ পেয়ে নড়ে চড়ে বসে কাঁথি থানার পুলিশ। এর আগে সারদার নথি গায়েব মামলায় সৌমেন্দু অধিকারীকে
জিজ্ঞাসাবাদ চালায় কাঁথি থানার পুলিশ।জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় কাঁথি পৌরসভার দুই কর্মী হরিপদ চক্রবর্তী ও ষষ্ঠী চক্রবর্তীকেও।
কাঁথি থানার আই সি অমলেন্দু বিশ্বাস জানিয়েছেন জিজ্ঞাসাবাদে অসংগতি পাওয়ায় কাঁথি পৌরসভার দুই কর্মী হরিপদ চক্রবর্তী ও ষষ্ঠী চক্রবর্তীকে শনিবার
গ্রেফতার করা হয়েছে।আগামীকাল এদের আদালতে হাজির করা হবে।
রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বাড়ি শান্তিকুঞ্জ থেকে ঢিল ছোঁড়া দুরত্বে কাঁথি পৌরসভার ১৭নং ওয়ার্ডের করকুলির বাসিন্দা
সহদোর হরিপদ চক্রবর্তী ও ষষ্ঠী চক্রবর্তী দুজনেই কাঁথি পৌরসভার কর্মী।দুজনেই কাঁথি শহরে নিজেদের অধিকারিদের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচয় দিতেন।
পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রাক্কালে এদের গ্রেফতারের ঘটনায় স্বাভাবিক ভাবেই চাঞ্চল্য ছড়ালো।






