চম্পা দাশ:-পোশাক দেখে অবাক হলেন তাই না? গেরুয়া সন্ন্যাসীর পোশাক অথচ গলায় স্টেথোস্কোপ, জিনিসটা কেমন হোল। হওয়ারই কথা। ইনি স্বামী নিরবানন্দ।
পুরুলিয়ার মানুষ ডাক্তার মহারাজ বলেই জানেন। কেও কেও দত্ত মহারাজও বলেন। AIIMS থেকে এম,ডি, আবার Specialised in Cardiology।
এক সময় সরকারি ডাক্তার ছিলেন। চিকিৎসক হিসাবে বিরাট নাম ডাক। অর্থও অনেক উপার্জন করেন। হঠাৎ একদিন উপলব্ধি করেন কি হবে এই অর্থ উপার্জন করে? ” মানুষও হইয়া জনম লইয়া মানুষের করিলি কি?”
সংসার জীবন ছেড়ে দিলেন । গেরুয়া বস্ত্র পরিধান করলেন। কোন বাবা হন নি। পুরুলিয়ার কেতিকা আশ্রম নামে পরিচিত সেখানেই তার ঠাই হল। কিন্তু যে বিদ্যা অর্জন করেছিলেন তা ত্যাগ তো করলেন না আরও ভালো ভাবে মানুষের রোগ নিরাময়ে কাজে লাগালেন। প্রশ্ন করবেন তাঁর ফি কত?
গরীবদের জন্য শূন্য। উলটে বিভিন্ন জায়গা থেকে সংগৃহীত ঔষধ বিনা মুল্যে। আর যাদের ক্ষমতা আছে তাঁর খুশি মনে যা দেন। সেটা ওই আশ্রমের খরচের জন্য ব্যয় হয়। এতো বয়স হয়েছে অথচ কত সময় নিয়ে যত্নের সাথে রোগী দেখেন। তাঁর কথা শুনলে অর্ধেক রোগ সেরে যায়। নাই হিন্দু মুসলিমের কোন ভেদাভেদ। তাঁর কাছে একটাই পরিচয় আমার রোগী।






