শৈশব বেলার আঁকড়ে ৮৪ বছর বয়সের দোরগোড়ায় এসে বাসন্তী রানী মাইতি শৈশবের প্রাথমিক বিদ্যালয়র ছাত্র-ছাত্রী ও শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সঙ্গে শনিবার দিনভর কাটালেন। নানা আলাপচারিতায় আনন্দ দিলেন শিশুদের। শুধু তাই নয় উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ কামনা করে তাদের হাতে তুলে দিলেন খাতা পেন সহ অন্যান্য শিক্ষা সামগ্রী। কাঁথি শহরের শেরপুর গ্রামের বাসিন্দা হলেও বাসন্তী দেবীর শৈশব বেলা কেটেছে দেশপ্রাণ ব্লকের আলদারপুট এলাকায়। চতুর্থ শ্রেণি পর্যন্ত পঠন পাঠান করেছিলেন ফরিদপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। আজ শনিবার তিনি অবসরপ্রাপ্ত ব্যাংক কর্মী সুযোগ্য পুত্র সুদীপ মাইতি, পুত্রবধূ সুজাতা মাইতি ও নাতনি সানন্দা মাইতি কে নিয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুনীত গুচ্ছাইত,শিক্ষক নির্মল মাঝি, শিক্ষিকা সুপ্তি সিনহা জানা,অনিতা সাউ, অনুশ্রী হাতি দের নিয়ে অর্ধশতাধিক ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে গল্প ওআলাপচারিতার মধ্য দিয়ে দিন কাটালেন।
প্রীতিভোজ ও শুভেচ্ছা বিনিময়ের মধ্য দিয়ে এই হুল্লোড়ের সারাদিনের অবসান হয়। প্রধান শিক্ষক সুনীত গুচ্ছাইত বলেন ছাত্র-ছাত্রীরা যেমন খুশি হয়েছে আমরাও বেশি খুশি হয়েছি এই প্রাক্তনীকে পেয়। তিনি আরো বলেন এই বিদ্যালয় শতবর্ষের দোরগোড়ায়। ২০২৬ সালে শতবর্ষ উদযাপন হবে। এক্ষেত্রে নিশ্চিতভাবে এইসব সুহৃত প্রাক্তনীদের আমন্ত্রণ থাকবে।
