Select Language

[gtranslate]
২৮শে ফাল্গুন, ১৪৩১ বৃহস্পতিবার ( ১৩ই মার্চ, ২০২৫ )

চাম্পাহাটি বাজির হাবের শিলান্যাস ।

প্রদীপ কুমার সিংহ :- বহু দিন ধরে চম্পাহাটি হারালে বাজি ব্যবসায়ীদের বাজির হাফ তৈরি করার আশায় ছিল। বুধবার সেই পাজি ব্যবসায়ীদের স্বপ্ন পূরণ করল বাজির হাব শিলান্যাস করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভার্চুয়ালি।
বহু প্রতীক্ষিত বারুইপুর চম্পাহাটি হারাল বাজিবাজারে হাব তৈর শুভ শিলানাস করলেন আজ মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি হাবরা থেকে ভার্চুয়াল এর মাধ্যমে। প্রতি বছর এই হারাল বাজি বাজারে দুর্ঘটনা লেগেই থাকে কিছু না কিছু সময় বিস্ফোরণে অনেকে বাড়ি আগুন ধরে বর্ষীভূত হয়ে যায়। এমনকি বেশ কয়েকজন বাজী ব্যবসায়ীও ও তাদের ছেলে মেয়েরা মারাও গিয়েছে। প্রশাসন সেই কথা ভেবেই আজ বেগমপুর খাল বরাবর কয়েক একর জমি নিয়ে এই বাজী হাব তৈরি নির্মাণ করা হবে। চম্পাহাটি হারাল ক্লাস্টারের জন্য সুবিখ্যাত এই পাঁচটি পঞ্চায়েতের অধীনস্থ এক লক্ষ মানুষ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সুবিধা পাবেন।
গত ১৯৯৬ সালে তদানীন্তন সরকার আতশবাজির উপর বিধি নিষেধ আরোপ করে এবং সেই বিধি নিষেধকে মান্যতা দিয়ে কাজকর্ম শুরু হয় পরবর্তীকালের পরিকাঠামো গত সুবিধা না থাকার ফলে এই ব্যবসা দিশাহীন হয়ে পড়ে। জন্য যেমন জমির বেশি পরিমাণ দরকার কারণ এই ক্লাসটার পর্যায়ে এখানে দুইটি প্লানে ভাগ করা হয়েছে একটা সফট ইন্টারভেনশন ও হার্ড ইন্টারভেনশন।
আধুনিক প্রশিক্ষণযুক্ত বাজী না থাকার ফলে পশ্চিমবঙ্গের বাজারগুলিতে অন্য বাজী বাজারে দখল নিয়েছে। এই সকল বিষয়গুলো মাথা রেখে বাজী শিল্পকে ও কারিগর কে বাঁচিয়ে রাখার জন্য বর্তমানে বিভিন্ন ট্রেনিং এর মাধ্যমে গ্রীন বাজি প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে । বাজে প্রস্তুত করতে গেলে যে পরিকাঠামো প্রয়োজন সেটা প্রস্তুতকারীদের অনুধাবন করতে হবে যার জন্য প্রায় 30 জন প্রস্তুতকারদের কারকে নিয়ে বর্তমান পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সহযোগিতায় তামিলনাড়ুর শিবকাশিতে গিয়ে সেখানে বিশেষ কিছু কারখানা পরিদর্শন করানো হয়। আধুনিক প্রযুক্ত প্রযুক্তিবিদ্যা গ্রহণের উদ্দেশ্যে শিক্ষা শিক্ষার্থী থেকে প্রায় ৮০ প্রকারের বাজি টেকনোলজি ট্রান্সফার করে আনা হয়েছে যেটা এখানে প্রশিক্ষণ দিয়ে এই সমস্ত বাজি যাতে তৈরি করানো যায়। এই বাজি হাত তৈরি হয়ে গেলে এখান থেকে এক থেকে দেড় লক্ষ মানুষের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে কর্মসংস্থান হবে।
এই গ্রীন বাজি প্রস্তুত এর ফলে দূষণমুক্ত পরিবেশ এই এলাকায় বজায় থাকবে।
এর পাশাপাশি এই এলাকায় আমল পরিবর্তন ঘটবে সেম সেলফ এমপ্লয়মেন্ট এর ব্যবস্থা ও কর্মসংস্থান অনেক বৃদ্ধি পাবে।
এর পাশাপাশি বারইপুর পূর্বের বিধায়ক বিভাস সরদার জানান শুধু শুধু বাজে ভাব নয় তার পাশাপাশি এই সমস্ত এলাকায় আরো কিছু ছোট ছোট যে শিল্প আছে। সেগুলো কেউ তুলে ধরা চেষ্টা করা হবে ও বাজিহাব হলে এখানে আধুনিক মানের ফায়ার ব্রিগেডের প্রস্তুত করা হবে ।
পাজি ব্যবসায়ীরা তারা যেটা জানায় এই বেগমপুর খালের দুপাশে এই বাজি হাত তৈরি হলে অনেকটা দুর্ঘটনা থেকে রেহাই পাবে এই হারাল এলাকার মানুষজন ও অনেকটা উন্মুক্ত পরিবেশে এখানে বাজিহাব তৈরি করা ও যেমন যাবে পাশাপাশি এই এলাকার অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি বৃদ্ধি পাবে।
কাটাকালে এই বাজিহাব শিলং এর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বারইপুর পূর্ব বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক বিভাগ বাড়ি পূর্ব বিধানসভা কেন্দ্রে ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি শ্যামসুন্দর চক্রবর্তী চম্পাহাটি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান ,বেগমপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান ও পঞ্চায়েত সমিতির অনেক সদস্য সদস্য এবং বেশ কিছু বাজি ব্যবসায়ী।

Related News