. প্রদীপ কুমার সিংহ
সোনাপুর ব্লকে বেআইনি ভাবে জলাভূমি ভরাট করা নিয়ে আগে অনেক খবর করা হয়েছে। এবার সোনারপুর ব্লক প্রশাসন বেআইনীভাবে জলাশয় ভরাট রুখতে এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের আর্থিকভাবে স্বনির্ভর করতে এক অভিনব পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।
ব্লকের অন্তর্গত বিভিন্ন ব্যক্তিগত মালিকানাধীন জলাশয়ে মাছ চাষের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এই উদ্যোগের আওতায় ২১০ জন পুকুর মালিককে বিনামূল্যে বিভিন্ন প্রজাতির চারা পোনা মাছ দেওয়া হয়েছে। এই প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য বনহুগলী ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের মহিলা পরিচালিত স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ‘প্রগতি সংঘ প্রাথমিক বহুমুখী সমবায় সমিতি লিমিটেড’-এর মাধ্যমে মাছ বিতরণ করা হয়।
সংস্থার সদস্যা গীতা নাড়ু জানান, তারা ব্লক প্রশাসনের কাছ থেকে অর্ডার পেয়ে বিভিন্ন এলাকায় এই মাছ সরবরাহ করছেন। এর ফলে স্থানীয় মহিলারাও স্বনির্ভর হওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন এবং আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন।
শুধুমাত্র ব্যক্তিগত পুকুর নয়, নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশনের জলাশয়গুলিতেও মাছ চাষের জন্য এদিন ৬০ কেজি মাছ বিতরণ করা হয়েছে। খেয়াদহ ১ নম্বর পঞ্চায়েতের বাসিন্দা দেবাশীষ মণ্ডল জানান, তার ব্যক্তিগত পুকুরে চাষের জন্য ২০ কেজি মাছ দেওয়া হয়েছে, যা তিনি প্রথমবার পেয়েছেন। তিনি আশা প্রকাশ করেন, এই মাছ বড় করে কলকাতার বাজারে বিক্রি করতে পারবেন, যা তাকে আর্থিকভাবে লাভবান করবে। সোনারপুর পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ প্রশান্ত বিশ্বাস জানান, ছোট ছোট জলাশয় যাতে পরিত্যক্ত অবস্থায় না থাকে, সেই লক্ষ্যেই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। জলাশয় সংরক্ষণের পাশাপাশি স্থানীয় চাষীদের আয়ের নতুন পথ খুলে দেওয়া হচ্ছে।
সোনারপুর ব্লক সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক শিঞ্জিনী সেনগুপ্ত জানান, বেআইনীভাবে জলাশয় ভরাট রুখতে এবং জলাশয়ের সঠিক ব্যবহারের জন্য এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি মাছ চাষের মাধ্যমে চাষীদের আর্থিক সচ্ছলতাও নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।
এই উদ্যোগ শুধুমাত্র জলাশয় সংরক্ষণের ক্ষেত্রে কার্যকরী ভূমিকা রাখবে না, পাশাপাশি স্থানীয় অর্থনীতিতেও ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। মাছ চাষের মাধ্যমে পুকুর মালিকরা যেমন উপার্জনের নতুন পথ খুঁজে পাবেন, তেমনি এলাকার বেকার যুবক ও মহিলারাও বিকল্প আয়ের সুযোগ পাবেন।
প্রশাসনের এই পদক্ষেপ জলাশয় সংরক্ষণের পাশাপাশি স্থানীয় মানুষের জীবিকায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে আশা করা হচ্ছে। তবে মাছগুলো বলেন যদি এ বছর এই মাছ চাষে ভালো সারা পাওয়া যায়, তাহলে আগামী দিনও সরকারের কাছ থেকে এই বিনামূল্যে মাছ নিয়ে ব্যবসা করা যেতে পারে।
সোনাপুর ব্লকে বেআইনি ভাবে জলাভূমি ভরাট করা নিয়ে আগে অনেক খবর করা হয়েছে। এবার সোনারপুর ব্লক প্রশাসন বেআইনীভাবে জলাশয় ভরাট রুখতে এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের আর্থিকভাবে স্বনির্ভর করতে এক অভিনব পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।
ব্লকের অন্তর্গত বিভিন্ন ব্যক্তিগত মালিকানাধীন জলাশয়ে মাছ চাষের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এই উদ্যোগের আওতায় ২১০ জন পুকুর মালিককে বিনামূল্যে বিভিন্ন প্রজাতির চারা পোনা মাছ দেওয়া হয়েছে। এই প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য বনহুগলী ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের মহিলা পরিচালিত স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ‘প্রগতি সংঘ প্রাথমিক বহুমুখী সমবায় সমিতি লিমিটেড’-এর মাধ্যমে মাছ বিতরণ করা হয়।
সংস্থার সদস্যা গীতা নাড়ু জানান, তারা ব্লক প্রশাসনের কাছ থেকে অর্ডার পেয়ে বিভিন্ন এলাকায় এই মাছ সরবরাহ করছেন। এর ফলে স্থানীয় মহিলারাও স্বনির্ভর হওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন এবং আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন।
শুধুমাত্র ব্যক্তিগত পুকুর নয়, নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশনের জলাশয়গুলিতেও মাছ চাষের জন্য এদিন ৬০ কেজি মাছ বিতরণ করা হয়েছে। খেয়াদহ ১ নম্বর পঞ্চায়েতের বাসিন্দা দেবাশীষ মণ্ডল জানান, তার ব্যক্তিগত পুকুরে চাষের জন্য ২০ কেজি মাছ দেওয়া হয়েছে, যা তিনি প্রথমবার পেয়েছেন। তিনি আশা প্রকাশ করেন, এই মাছ বড় করে কলকাতার বাজারে বিক্রি করতে পারবেন, যা তাকে আর্থিকভাবে লাভবান করবে। সোনারপুর পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ প্রশান্ত বিশ্বাস জানান, ছোট ছোট জলাশয় যাতে পরিত্যক্ত অবস্থায় না থাকে, সেই লক্ষ্যেই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। জলাশয় সংরক্ষণের পাশাপাশি স্থানীয় চাষীদের আয়ের নতুন পথ খুলে দেওয়া হচ্ছে।
সোনারপুর ব্লক সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক শিঞ্জিনী সেনগুপ্ত জানান, বেআইনীভাবে জলাশয় ভরাট রুখতে এবং জলাশয়ের সঠিক ব্যবহারের জন্য এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি মাছ চাষের মাধ্যমে চাষীদের আর্থিক সচ্ছলতাও নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।
এই উদ্যোগ শুধুমাত্র জলাশয় সংরক্ষণের ক্ষেত্রে কার্যকরী ভূমিকা রাখবে না, পাশাপাশি স্থানীয় অর্থনীতিতেও ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। মাছ চাষের মাধ্যমে পুকুর মালিকরা যেমন উপার্জনের নতুন পথ খুঁজে পাবেন, তেমনি এলাকার বেকার যুবক ও মহিলারাও বিকল্প আয়ের সুযোগ পাবেন।
প্রশাসনের এই পদক্ষেপ জলাশয় সংরক্ষণের পাশাপাশি স্থানীয় মানুষের জীবিকায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে আশা করা হচ্ছে। তবে মাছগুলো বলেন যদি এ বছর এই মাছ চাষে ভালো সারা পাওয়া যায়, তাহলে আগামী দিনও সরকারের কাছ থেকে এই বিনামূল্যে মাছ নিয়ে ব্যবসা করা যেতে পারে।