কোলাঘাট ফুলবাজারের মাথার উপরে আচ্ছাদন-মেঝে,পর্যাপ্ত আলো,পানীয় জল, শৌচাগার সহ বিভিন্ন পরিষেবামুলক ব্যবস্থা চালু,দেউলিয়া বাজার সংলগ্ন নবনির্মিত পানশিলা ফুলবাজারটি অবিলম্বে চাষী-ব্যবসায়ীদের স্বার্থে চালুর দাবীতে আজ পূর্ব মেদিনীপুর জেলা ফুলচাষী ও ফুলব্যবসায়ী সমিতির কোলাঘাট ব্লক শাখার পক্ষ থেকে ব্লকের বিডিও অমিত কুমার চাঁদকে ডেপুটেশন ও স্মারকলিপি দেওয়া হয়।

প্রতিনিধিদলে ছিলেন জেলা কমিটির সম্পাদক নারায়ণ চন্দ্র নায়ক,কোলাঘাট ফুলবাজার পরিচালন সমিতির সম্পাদক দিলীপ প্রামাণিক, সদস্য বিশ্বজিৎ নায়ক প্রমুখ। বিডিও দাবীগুলির যৌক্তিকতা স্বীকার করে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেন এবং শীঘ্রই পানশিলা ফুলবাজারটি চালুর প্রচেষ্টা চলছে।
স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়,পূর্ব মেদিনীপুর জেলা সারা রাজ্যের ফুলচাষের মানচিত্রে দ্বিতীয় স্থানাধিকারী জেলা। জেলার মধ্যে আবার কোলাঘাট ব্লক একটা গুরুত্বপূর্ণ স্থান অধিকার করে রয়েছে। ব্লকে রয়েছে -দেউলিয়া ও কোলাঘাটে দুটি বড় ফুলের বাজার। কোলাঘাট ফুলবাজারটি রাজ্যের দ্বিতীয় এবং দেউলিয়া ফুলবাজারটি তৃতীয় ফুলবাজার হিসাবে পরিচিত। কোলাঘাট ফুলবাজার বসে কোলাঘাট স্টেশনের ডাউন এক নম্বর প্লাটফর্মের নীচে খাদের এক কোণে মাত্র ১৪৬৯ বর্গ মিটার এলাকায়। রেল দপ্তর প্রতি চাষীর কাছ থেকে ১০ টাকা,ফুলব্যবসায়ীর কাছ থেকে ২৫ টাকা ও দোকানদারদের কাছ থেকে ৪০ টাকা করে ফেরিওয়ালা টিকিট বাবদ অর্থ আদায় করলেও বাজারে নেই তেমন কোন পরিষেবার ব্যবস্থা। ওই বাজারটি বসে ভোর তিনটে থেকে সকাল দশটা পর্যন্ত। বাজারটিতে দুই মেদিনীপুর জেলা ছাড়াও হাওড়া জেলার ফুলচাষীরা ফুল বিক্রির কারণে আসেন।
অন্যদিকে দেউলিয়া ফুলবাজার বসে ১৬ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে। বাজারটিতে দুই মেদিনীপুর জেলা ছাড়াও হাওড়া জেলার ফুলচাষীরা ফুলবিক্রির কারণে আসেন। ওই বাজারটি বসে ভোর তিনটে থেকে সকাল আটটা পর্যন্ত। রাস্তার পাশেই একটি ছোট আড়ত রয়েছে। জাতীয় সড়কের ধারে বাজারটি বসার কারণে নিয়ত দুর্ঘটনার কবলে পড়ত ফুলচাষী ও ফুলব্যবসায়ীরা। সে কারণে ওখানকার চাষী-ব্যবসায়ীদের দাবী ছিল,বাজারটি রাস্তা সংলগ্ন পার্শ্ববর্তী স্থানে সরানোর। ওই পরিপেক্ষিতে ২০১৯ সালে তৎকালীন জেলাশাসক ডাঃ রশ্মি কমলের উদ্যোগে কোলাঘাট ব্লক অফিসে ফুলচাষী ও ফুলব্যবসায়ী,আড়তদারদের নিয়ে বৈঠক করে ওই বাজার থেকে ৫০০ মিটার দূরে ন্যাশনাল হাইওয়ের খাদ ভরিয়ে বাজারটি স্থানান্তরিত করার সিদ্ধান্ত হয়। সেইমত ওই স্থানে কোলাঘাট তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র ও পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পরিষদের সহযোগিতায় একটি নতুন ফুলবাজার গড়ে তোলা হয়েছে। যা গত দু বছর আগে নির্মাণকার্য শেষ হলেও আজও চালু হয়নি।





