পূর্ব মেদিনীপুর জেলার তমলুক-ঘাটাল সমবায় ব্যাংকের নিয়োগ এবার দুর্নীতির অভিযোগ।
গত বৃহস্পতিবার কলকাতার হাইকোর্টে বিচারপতি সৌমেন সেন ও বিচারপতি স্মিতা দাস দের ডিভিশন বেঞ্চে মামলাটি ওঠে।
সমবায় ব্যাংকের শূন্য পদের থেকে অতিরিক্ত নিয়োগ নিয়ে জনস্বার্থে মামলা হয়।অভিযোগ ২০১৯ সালে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ ঘোষিত পদ ৫২টির জায়গায় নিয়োগ করেছে ১৩১ জনকে। লক্ষ লক্ষ টাকার বিনিময়ে অবৈধভাবে এই নিয়োগ করে বলে অভিযোগ। এমনকি অনেকে পরীক্ষা পর্যন্ত দেননি। ফর্ম পুরনো করেননি।
আরো অভিযোগ সব নেতা-নেত্রী এবং কর্মচারীদের আত্মীয়-স্বজনদের চাকরি হয়ে গেছে। এই নিয়োগের ক্ষেত্রে কো- অপারেটিভ সার্ভিস কমিশনের কোন সুপারিশও ছিল না । এই অতিরিক্ত নিয়োগ অবৈধ ।কো–পারেটিভ সার্ভিস কমিশনের সুপারিশ ছাড়া নিয়োগ করা যায় কিনা প্রশ্ন মামলায় উঠেছে। এই মামলায় যুক্ত করা হয়েছে কমিশন এবং রাজ্য সমবায় দপ্তরকে। এমনকি সমবায় ব্যাংক রাজ্য সরকারের এক্তিয়ারে পড়ে কিনা তার ব্যাখ্যা ও দিতে হবে ওই ব্যাংকের কৌশলীকে।
সংশ্লিষ্ট সমবায় ব্যাংকের মোট চার ধরনের বিভাগে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছিল। গ্রুপ এ ,গ্রুপ বি, গ্রুপ সি ও গ্রুপ ডি মিলিয়ে মোট শূন্য পদের সংখ্যা ছিল ৫২ টি। কি করে দ্বিগুণের বেশি অর্থাৎ ১৩১ জনকে নিয়োগ করা হলো এ নিয়ে হৈচৈ পড়েছে।
সংশ্লিষ্ট সমবায় ব্যাংকের নিয়োগ দুর্নীতিতে সব পক্ষের হলফনামা চেয়েছেন উচ্চ আদালত। আগামী একুশে জুলাই ফের মামলার শুনানি হবে। পূর্ব মেদিনীপুর জেলা সমবায় বাঁচাও মঞ্চের পক্ষ থেকে সম্পাদক গঙ্গাধর মন্ডল এই অবৈধ নিয়োগ নিয়ে হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেন। সেখানে কিছু সুবিধাবাদী রাজনৈতিক নেতৃত্বের চক্রান্তে ও হাইকোর্টের উকিলের পদ্ধতিগত ভুলের জন্য মামলাটি বাতিল হলেও পরবর্তী সময়ে এই বিশাল অংকের দুর্নীতির বিরুদ্ধে পুনরায় জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়।
পূর্ব মেদিনীপুর জেলা সমবায় বাঁচাও মঞ্চের সভাপতিও মুগবেড়িয়া সেন্ট্রাল কো-অপারেটিভ ব্যাংকের প্রাক্তন চেয়ারম্যান হিমাংশু দাস এই অবৈধ নিয়োগে মহামান্য উচ্চ আদালত রায়ের প্রতি আস্থা প্রকাশ করেছেন।
অভিযোগ পূর্ব মেদিনীপুর জেলা জুড়ে সমবায় ব্যাংকগুলোতে কোটি কোটি টাকার দুর্নীতি রয়েছে। লক্ষ লক্ষ টাকার বিনিময়ে অবৈধ নিয়োগ হচ্ছে। দুর্নীতিগ্রস্ত সরকার ক্ষমতায় থাকার ফলে কোন নিয়ম মানছে না। ওইসব সমবায় ব্যাংক গুলির দুর্নীতির প্রশ্নেও মামলা হবে। সমবায় বাঁচাও মঞ্চ লড়াই করবে ।
