ভূপতিনগর বোম বিস্ফোরন কান্ডে নয়া মোড় । সোমবার সকাল থেকে উত্তেজনা ছড়ালো এলাকায়।স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি এই বিস্ফোরনের ঘটনায় জড়িত বিজেপি।রাজ্যের প্রধান বিরোধী দলের তিন সমর্থককে পাকড়াও করে তাদের ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখালেন এলাকার মহিলারা। তবে ঘটনা প্রসঙ্গ বিজেপি বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ মাইতি দাবি করেছেন বোম স্কোয়াড ঘটনাস্থলে আসায় দেখতে গিয়েছিলো এই বিজেপি কর্মীরা।তখনই তাদের ঘিরে ধরে উত্তেজনা ছড়ায় তৃনমূল।
শনিবার কাঁথিতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভার আগের দিন শুক্রবার রাত্রে বিস্ফোরণে বুথ সভাপতি রাজকুমার মান্না সহ ৩ জনের।এর পর থেকেই বিজেপি দাবি করতে থাকে এলাকায় সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরী করে পঞ্চায়েত দখলের ছক কষেছে তৃনমূল।সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরীর জন্যে তৃনমূলের দুষ্কৃতীরা বোম বাঁধার কাজ করার সময়ে এই দুর্ঘটনা।তবে সোমবারের এই ঘটনায় নতুন মাত্রা যোগ হল ।
জানা গেছে সোমবার সকালে ভগবানপুরের এই গ্রামে পৌঁছয় বম্ব কোয়াড ও বিশাল পুলিশবাহিনী। কীভাবে শুক্রবার রাত্রে ঘটল বিস্ফোরণ, কারা এর জন্য দায়ী, তা খতিয়ে দেখছিল তারা। তদন্ত চালাচ্ছিলেন আধিকারিকরা। গিয়েছিল বম্ব স্কোয়াডের কুকুরও।সেই সময়ে ঘরছাড়া তিন বিজেপি কর্মীদের ঘটনাস্থলে দেখতে পেয়ে বিক্ষোভে ফেটে পড়ে এলাকাবাসী।
গ্রামবাসীদের অভিযোগ, ওই তিনজন অনেকদিন থেকেই এলাকায় ছিল না। এরপর আজ পুলিশ আসতে দেখে, তারা গ্রামে আসেন। এরপরই তাদের উপর চড়াও হয় গ্রামবাসীরা।
স্থানীয়দের আরো দাবি এলাকার বাসিন্দাদের ক্ষিপ্ত হতে দেখে এই তিন জন পালানোর চেষ্টা করে ।তখন গ্রামের মধ্যে ওই তিনজনকে রীতিমতো তাড়া করে ঘিরে ফেলেন তৃণমূল সমর্থকরা। তাদের মারধর করতে উদ্যত হয়। আর এরই মধ্যে ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছে গিয়ে তাঁদের উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন।
বিক্ষোভকারীদের দাবি ঘটনার দিন এরা গ্রামে এসেছিল । যে তিনজন এইদিন গ্রামে এসেছিলেন, তাঁদের মধ্যে দুইজন জয়দেব দোলুই এবং নান্টু প্রধান বলে দাবি করেছেন গ্রামবাসীরা। বিক্ষুব্ধ গ্রামবাসীদের বক্তব্য,এরাই বোম ফিট করে মেরেছে। এরা অনেকদিন ধরে ঘরছাড়া। এলাকায় যে সন্ত্রাস করেছে, এমনিই ঘরছাড়া হয়ে গিয়েছে।
মৃতের পরিবারের লোকও বলছেন,সন্দেহ আমাদের বরাবরই ছিল। আমরা ভয়ে মুখ খুলতে পারিনি। ওরাই মেরেছে আমাদের লোককে।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বিজেপি কর্মীদের গাড়িতে তুলে চলে যাওয়ার চেষ্টা করে পুলিশ। কিন্তু মহিলা ও শিশুরা গাড়ির সামনে শুয়ে পড়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে। এরপর বিশাল পুলিশবাহিনী ও ব়্যাফ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
অপরদিকে তৃনমূল দাবি করতে শুরু করেছে আখেরে এই বোমবাজীর ঘটনা ঘটিয়েছে বিজেপি।পরে পরিকল্পনা অনুযায়ী সেটা তৃনমূলের উপরে চাপানোর চেষ্টা হচ্ছে।