Select Language

[gtranslate]
১লা চৈত্র, ১৪৩১ শুক্রবার ( ১৪ই মার্চ, ২০২৫ )

।। কাঁথি শহরের রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে নাবালিকাকে ধর্ষন ।।

নক্কারজনক ঘটনার স্বাক্ষী থাকলো কাঁথি।এক নাবালিকাকে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষন করলো এক যুবক।সেই কাজে এই যুবককে সহায়তা করলো তার দুই বন্ধু।এমনকি সেই নরাধমরা সেই নক্কারজনক ঘটনার ভিডিও বানালো মোবাইলে!শুক্রবার ভর সন্ধ্যায় ঘটে যাওয়া এই নক্কারজনক ঘটনাটা জানাজানি হতেই শহর জুড়ে আতংক ছড়িয়েছে।


অভিযোগ নাবালিকাকে রাস্তা থেকে গায়ের জোরে জঙ্গলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠল এক যুবকের বিরুদ্ধে। আরো অভিযোগ ধর্ষনে যুবককে সহযোগিতা ও পুরো ঘটনা ভিডিওগ্রাফি করার অভিযোগ উঠলো দুই বন্ধুর বিরুদ্ধে।


ধর্ষিতা নাবালিকার মায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে দ্রুততার সঙ্গে অভিযুক্ত ও তার দুই বন্ধুকে গ্রেফতার করলো কাঁথি থানার পুলিশ।


পূর্ব মেদিনীপুর জেলার কাঁথি পৌর এলাকার ১৬ নম্বর ওয়ার্ড ক্যানেলপাড় এলাকায়। কাঁথি থানার পুলিশ জানিয়েছে অভিযুক্তরা হল কাঁথির থানার আঠিলাগড়ি এলাকায় শম্ভু পাইকার, দুই বন্ধু সমুদ্রপুর গ্রামের রাহুল বর ও আঠিলাগড়ি এলাকার বাসুদেব রানা।

শনিবার অভিযুক্তদের কাঁথি মহকুমা আদালতে তোলা হয়। বিচারক তাদের জামিন নাকচ করে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন। ধর্ষিতা নাবালিকার কাঁথি মহকুমা হাসপাতালে ডাক্তারি পরীক্ষা করানো হয় বলে এমনটাই কাঁথি থানা সূত্রে জানাগেছে।ঘটনার পর অভিযুক্তদের শাস্তির দাবিতে সোচ্চার হয়েছেন এলাকার বাসিন্দা থেকে জনপ্রতিনিধিরা।

পুলিশ সূত্রে খবর, শুক্রবার ভর সন্ধ্যায় কাঁথি শহরের এক নাবালিকাকে জোরপূর্বক সাইকেলে করে তুলে নিয়ে যায় তিন যুবক বলে অভিযোগ। এরপর কাঁথি শহরে ক্যানেলপাড় জঙ্গল সংলগ্ন এলাকায় ওই নাবালিকাকে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে অভিযুক্ত শম্ভু পাইকার বলে অভিযোগ। পুরো সহযোগিতা করে ও ধর্ষণের ভিডিওগ্রাফি করে রাখে দুই বন্ধু বলে অভিযোগ। এরপর নাবালিকা বাড়ি ফিরে অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরে মাকে সব কথা জানায়। এরপর নাবালিকার মা রাতেই কাঁথি থানায় এসে হাজির হয়। রাতেই কাঁথি থানায় তিন অভিযুক্তের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ পেয়ে তৎক্ষণাৎই কাঁথি থানার আই সি অমলেন্দু বিশ্বাস এর নির্দেশে তদন্তকারী পুলিশ অফিসার কাঁথি শহরে বিস্তীর্ণ এলাকায় চিরুনি তল্লাশি শুরু করেন। রাতেই তিন অভিযুক্ত যুবককে গ্রেফতার করে পুলিশ।

কাঁথি থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক অমলেন্দু বিশ্বাস বলেন ” অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত নেমে তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুরো ঘটনাটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’ যদিও তদন্তের কারণে বেশি কিছু তথ্য জানাতে রাজি হননি তিনি । তিন অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধি ৩৭৬ (২), ৪ পক্সো আইনে মামলা রুজু করেছে পুলিশ।

Related News