পূর্ব মেদিনীপুরের এগরায় কালচারাল কার্নিভাল এ উপস্থিত হয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্দেশ্য লেখা “দ্যা মমতা ব্যানার্জি ওয়ে”পুস্তকের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করলেন তূনমূলের মুখপাত্র কুনাল ঘোষ।
পরে তিনি সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ব্রিগেডে বামেদের সমাবেশ নিয়ে কটাক্ষ করে বলেন, “ওটা হাঁসজারু ব্রিগেড হয়েছে। সিপিএম ডেকেছিল কিন্তু ওখানে বিজেপির ভোটাররা গেছিল। ওই ব্রিগেডের স্লোগান হচ্ছে সিপিএমের ডাকে ব্রিগেড চলো, আর বিজেপিকে ভোট দিতে ব্রিগেড থেকে ফেরো। চারটি লোক এনে ব্রিগেড করা খুব একটা বড় কথা নয়।” ভোটের প্রসঙ্গ তুলে তিনি বলেন, এখন কথা হচ্ছে ওই লোকগুলো ভোটের সময় যায় কোথায়? সিপিএমের ভোট ক্রমশ কমছে। কংগ্রেসের সঙ্গে যোগ করেও ৫-৬% যাচ্ছে না। উল্টে বিজেপির ভোট পার্সেন্টেজ বাড়ছে। তৃণমূলের ভোট কমছে না। সিপিএমকে আমরা চ্যালেঞ্জ করছি আপনাদের আগে বিজেপির থেকে ভোটটা ফেরান। তারপর ঘুরে দাঁড়ানোর কথা বলবেন। আপনাদের ভোট নিয়েই বিজেপির কিছু আসন বেড়েছে।

কুনালের বক্তব্য, একটা ব্রিগেড থেকে ঘুরে দাঁড়ানোর কোনো সম্পর্ক নেই। আগের ব্রিগেডে ওরা বলেছিল ব্রিগেড থেকে ঘুরে দাঁড়াচ্ছি। কিন্তু এমন ঘুরে দাঁড়িয়েছে বিধানসভায় শূন্য হয়েছে। ওরা নিজের পাড়ায় নিজের পার্টিকে জেতাতে পারে না। ওদের ব্রিগেড নিয়ে আমাদের মাথা ব্যথা নেই। এটা রামবামের ব্রিগেড হয়েছে। ওটা ইনকিলাব জয় শ্রীরামের ব্রিগেড।
মুর্শিদাবাদের ঘটনা নিয়ে ইতিমধ্যে জাতীয় মহিলা কমিশন মুর্শিদাবাদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে সাধারণ মানুষের সাথে কথা বলছে। আক্রান্তদেরকে ক্ষতিপূরণের জন্য বলেছে মহিলা কমিশন। সে নিয়ে কুনাল বলেন,মহিলা কমিশন দলদাসের ভূমিকা পালন করছে। উনারা বাংলা ছাড়া কোথাও যান না। কারণ বাংলায় এসে বাংলার দুর্নাম করলে রাজ্যসভায় বিজেপির প্রাইজ দেওয়া হয়। যখন উত্তরপ্রদেশ কিংবা অন্য রাজ্যে হয় তখন ওনারা যান না। জাতীয় মহিলা কমিশন পলিটিক্যাল অ্যাসাইনমেন্টে এসেছে। ওদের কাজ ওখানে যাও মিথ্যা কথা সাজাও, সাদা কাগজে সই কর আর কুৎসা করো তাহলে রেখা শর্মার মতো রাজ্য সভায় পাঠাবো। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নিজের কেন্দ্রে যখন নারী নির্যাতন হয় তখন এরা কোথায় থাকে?
মুর্শিদাবাদ প্রসঙ্গে তিনি আরো বলেন, মুর্শিদাবাদের ঘটনায় বিরাট চক্রান্ত আছে। কি করে সীমান্ত লুজ হয়ে গেল, কিভাবে সীমান্ত থেকে লোক ঢুকলো এবং হিংসা ছড়িয়ে দিল এগুলো সরকার দেখছে। এটা আমাদের সরকার দেখছে। জাতীয় মহিলা কমিশন যারা বিজেপি মহিলা মোর্চার শাখা সংগঠন তাদের কাছ থেকে আমাদের শিখতে হবে না।
বাঁকুড়ার বিজেপি বিধায়কের অস্ত্র রাখার বক্তব্যে পাল্টা কুনাল বলেন,বিজেপি নেতাদের এই ধরনের উস্কানিমূলক বক্তব্যের রেজাল্ট হচ্ছে দু’চারটে খারাপ ঘটনা। আমরা উন্নয়নের রাজনীতির কথা বলছি। তার বদলে অস্ত্র রাখার কথা বলছে এবং হিন্দু মুসলিম করেছে। বুঝতে হবে ওরা ধর্মীয় মেরুকরণ করে ভোট চাইছে।
রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু আধিকারীর প্রসঙ্গ তুলে তিনি বলেন, শুভেন্দু অধিকারী নিজে বলছেন বাংলাদেশ থেকে এসে জ্বালিয়ে লুট করে চলে গেল। আমরা যেটা বলছি সেটা ওনার মুখ থেকেও বেরিয়ে এসেছে। এটা বাংলাকে মেলাইন করার জন্য বিজেপির একটা ডিজাইনের অঙ্গ। ফলে যেসব বিজেপি নেতারা অস্ত্র রাখার কথা বলছেন তারা উস্কানি দিচ্ছেন।





