Select Language

[gtranslate]
২৮শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ শনিবার ( ১৩ই ডিসেম্বর, ২০২৫ )

নোবেল না পাওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ কেমিস্ট্রির অধ্যাপক মৃণাল ঠাকুর

ইন্দ্রজিৎ আইচ


পৃথিবী বিখ্যাত বাঙালী রসায়ন বিজ্ঞানী অধ্যাপক মৃণাল ঠাকুরের নাম অনেকেই শুনেছেন আবার কেউ শোনেন নি। দীর্ঘ তিন দশক ধরে তিনি পলিমার নিয়ে নানা গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছেন অ্যালবামা এউবার্ন বিশ্ববিদ্যালয় এ। যেটা আমেরিকার আটলান্টায় অবস্থিত।তিনি এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ফটোনিক ম্যাটেরিয়ালস রিসার্চ ল্যাবরেটরির প্রধান বা ডিরেক্টর পদে রয়েছেন।

প্রফেসর মৃণাল ঠাকুর কলকাতা প্রেস ক্লাবে এক সাংবাদিক সম্মেলনে জানালেন আবার বিষয় হলো পলিমার। যেটা এক ধরনের প্লাস্টিক। যেটা প্রায় সারা বিশ্বে নিষিদ্ধ হয়েছে। যেটা দিয়ে বিভিন্ন বোতল, নানা ব্যাবহারিক জিনিস পত্র ও ওষুধের খাপ পর্যন্ত বানানো হয়। যা মানুষের পক্ষে খুব বিপদজনক। এই বিষয়ে আমার থিসিস ২০০০ সালে জমা দিয়েছিলাম আমেরিকার নোবেল কমিটির কাছে। কিন্তু তারা সব জেনে বুঝেও আমার এই গবেষণাকে কোনো স্বীকৃতি দেয়নি।

বলেন আমি ২০০০ সাল থেকে ২০২২ পর্যন্ত অপেক্ষা করেছি। নোবেল প্রাইজ আমি পাবার যোগ্য। কারণ এই আবিষ্কার, এই থিসিস আর কেউ এতো দিনে জমা দেয়নি বা কেউ আমার আপত্তি তোলেন নি। কিন্তু কোনো এক অজানা কারণে আমার এই নোবেল পাওয়ার স্বীকৃতি বাধা প্রাপ্ত হচ্ছে।

বলেন এর আগে অমর্ত্য সেন, অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায় পেয়েছেন। কিন্তু এই বিষয় এ কেউ নোবেল পায়নি। তাহলে কি আমার এত দিনের গবেষণা, পরিশ্রম, সততা, নিষ্ঠা, পড়াশোনা সব কি বিফলে চলে যাবে? এক জন বাঙালী হিসাবে এই নোবেল সন্মান কি পেতে পারি না। তিনি আজ সেই দাবি তুললেন প্রেস ক্লাবে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এবং ক্ষোভ প্রকাশ করলেন নোবেল কমিটির বিরুদ্ধে।

তার এই গবেষণা নিয়ে নোবেল কমিটি তাকে ১৪ বার মনোনীত করলেও নোবেল প্রাইজ দেন নি। একজন কৃতি বাঙালী হিসাবে তাই অধ্যাপক মৃণাল ঠাকুর খুব হতাশ।তিনি জানালেন এই বিষয়টা কেন্দ্র সরকারকে জানিয়েছিলাম। কিন্তু তারা কোনো উত্তর দেয়নি। তবু আগামী দিনেও এই গবেষণা চালিয়ে যাবেন। নোবেল পাওয়ার চেষ্টা আমার জারি থাকবে এইটুকু বলতে পারি আপনাদের।

Related News

Also Read