দিলীপ ঘোষ :-পৃথিবীর একমাত্র মূর্তি।
শ্রীবিষ্ণু নন, সর্প রাজের ছায়ায় হর পার্বতী।
বছরে একদিন দর্শন।
নাগচন্দ্রেশ্বর মন্দির, মহাকালেশ্বর।
মহাকালেশ্বর মন্দিরের সঙ্গে তৃতীয় সারিতে নাগচন্দ্রেশ্বর মন্দির।
শুধুমাত্র নাগ পঞ্চমীর দিন খোলা থাকে। এ বছর পয়লা আগষ্ট রাত বারোটায় মন্দির খুলেছিল, পর দিন মঙ্গলবার রাত বারোটায় আরতির সঙ্গে সঙ্গে দরজা বন্ধ করে দেওয়া হয়। খুলবে আবার সামনের বছর নাগ পঞ্চমী তে।
তক্ষক মহাকালেশ্বরের জঙ্গলে মহাদেবের তপস্যা করেন। মহাদেব সন্তুষ্ট হয়ে সর্প রাজ তক্ষককে অমরত্ব প্রদান করেন। সর্প রাজ মহাকালেশ্বরের কাছেই একাকী নিভৃতে থাকতে চান। তাই বছরে একদিন মন্দির খোলা থাকে এবং বিশ্বাস করা হয় সর্প রাজ এই মন্দিরেই বাস করেন।
দর্শনে কালসর্প দোষ দূর হয়। আর? দর্শন করুন, অনুভব করুন। এক দিনে আড়াই লক্ষ মানুষ দর্শন করে। দুপুর বারোটায় কালেকটরের অর্থাত সরকারের পূজ হয়, রাত আটটায় মহাকালেশ্বর প্রবন্ধক কমিটির পূজ হয়। বরাবরের নিয়ম।
মন্দিরটি নির্মাণ করেন রাজা ভোজ, 1050 সালে। রাণেজী সিন্ধিয়া 1732 সালে মন্দিরটি সংস্কার করেন। সর্প বা সাপ দেবতাদের আভূষন হিসেবেই হিন্দুরা মেনে এসেছে।
