Select Language

[gtranslate]
২৮শে ফাল্গুন, ১৪৩১ বৃহস্পতিবার ( ১৩ই মার্চ, ২০২৫ )

দারিদ্রতার কারণে শিশু পুত্রকে মানুষ করার প্রশ্নের মুখোমুখি হয়ে নিজের শিশুপুত্রকে নিঃসন্তান দম্পতির হাতে তুলে দিয়ে নিশ্চিন্তে ছিলেন শিশুর পিতা। শেষ পর্যন্ত পুলিশ অভিযোগ পেয়ে অভিযান চালিয়ে ওই শিশুকে উদ্ধার করেছে। পাশাপাশি বাবাকে গ্রেপ্তার করল জুনপুট কোস্টাল থানার পুলিশ। কাঁথি ১ ব্লকের মাজিলাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের  করঞ্জি এলাকার চললেকর ঘটনা। এই ঘটনায় যুক্ত থাকা  আরও তিনজন সহযোগীকে গ্রেপ্তার করেছে। উদ্ধার হওয়া   ৪০দিনের শিশুটিকে হোমে পাঠানো হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতরা হল করঞ্জি গ্রামের সুবর্ণ প্রামাণিক,  দক্ষিণ গোপীনাথপুর গ্রামের সত্যরঞ্জন পাত্র, পূর্ণ পাত্র ও বেণীপুর গ্রামের অভিজিৎ মাইতি। ধৃতদের রবিবার  কাঁথি মহকুমা আদালতে তোলা হয়। বিচারক তদন্তের স্বার্থে সকলের পাঁচদিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন। শিশুটিকে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে বিক্রি করা হয়েছে বলে অনুমান। তবে  এই বিষয়টি  স্পষ্ট নয়। পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। জানা গেছে,সুবর্ণ গানের দলের সঙ্গে যুক্ত। তাঁর স্ত্রী অসুস্থ ও মানসিক ভারসাম্যহীন।

দারিদ্রের কারণে কে পুত্রসন্তানকে কে মানুষ করবে, তা নিয়ে চিন্তায় ছিলেন সে। অভিজিৎও সুবর্ণর সঙ্গে গানের দলের যুক্ত।  তাদের মাধ্যমে রামনগর থানার গাংপুরা গ্রামের এক নিঃসন্তান দম্পতির সঙ্গে যোগাযোগ হয় । তাদেরই মধ্যস্থতায় আজ থেকে একমাসেরও বেশি আগে তার স্ত্রী বা আত্মীয় পরিজনকে  না জানিয়ে গোপনে নিজের শিশুপুত্রকে ওই দম্পতির হাতে তুলে দেন সুবর্ণ।  বিষয়টি এলাকার মানুষজনের মধ্যে জানাজানি হয়। এলাকাবাসীর চাপে পড়ে রামনগরের ওই দম্পতিকে বুঝিয়ে গত শুক্রবার তাঁদের থেকে শিশুটিকে নিয়ে চলে আসে সুবর্ণ সহ বাকিরা। পাশাপাশি জুনপুট কোস্টাল থানায় বিষয়টি জানায় সে। জানার পরই পুলিশ মামলা রুজু করে তদন্তে নামে। পুলিশ শনিবার শিশুটিকে উদ্ধার করে। পাশাপাশি সুবর্ণ সহ চারজনকে বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।  ওসি কামার হাসিদ বলেন,  ধৃতদের জেরা করে আমরা ঘটনা সম্পর্কে সবকিছু জানার চেষ্টা করছি। এর পেছনে আরো কোন বড় চক্র কাজ করছে কিনা এটাও পুলিশ তদন্তের মাধ্যমে জানার চেষ্টা করছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে।

Related News