তমলুক টাউন কো অপারেটিভ নির্বাচনের প্রাক্কালে তৃণমূল কংগ্রেসের অন্দরের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে। চলতি মাসের ১৮ তারিখ তমলুক টাউন ক্রেডিট সোসাইটি ব্যাংকের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে চলেছে। ইতিমধ্যেই মনোনয়ন জমা দিয়েছে তৃণমূল, বিজেপি এবং নির্দল প্রার্থীরা। মোট ৫৮টি আসনের মধ্যে তৃণমূল ৫৮টি, বিজেপি ২৪টি এবং ৯টি আসনে নির্দল প্রার্থীরা লড়াইয়ে নামছে।
তমলুক বিধানসভার বিধায়ক সৌমেন মহাপাত্র জানিয়েছিলেন, প্রতিটি ওয়ার্ডে কাউন্সিলরের মতামতের ভিত্তিতেই প্রার্থী ঠিক করা হবে। কিন্তু এই প্রক্রিয়ায় বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে ১৬ নম্বর ওয়ার্ড নিয়ে। ওই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর দেবশ্রী দাস মাইতির পাঠানো নাম বাদ দিয়ে প্যানেল থেকে অন্য একটি নাম ঘোষণা করেন তমলুক শহর তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি তথা ২০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর চঞ্চল খাড়া। এর জেরে সমাজমধ্যমে ক্ষোভ প্রকাশ করে ১৬ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর দেবশ্রী মাইতি একটি ভিডিও বার্তায় ক্ষোভ উগরে দেন বিধায়কের নির্দেশ অনুসারে নাম পাঠানো হলেও তা বদলে গেল। একজন কাউন্সিলর সব পদ পরিচালনা করছেন।,বিধায়ক সভাপতি সবার রোল প্লে করছেন।তিনি এই বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে বিবেচনার জন্য দলের সর্বোচ্চ নেতৃত্ব মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হস্তক্ষেপ চেয়েছেন।
এছাড়াও তমলুক শহর তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি বিরুদ্ধে অন্যান্য কাউন্সিলররা ও প্রশ্ন তোলা শুরু করেন।আরেক কাউন্সিলর পার্থ সারথি মাইতি বলেন চঞ্চল খাঁড়া একাধিক সমবায় ব্যাংকের পদ দখল করে রয়েছেন,তাও ক্ষমতা ও অর্থের লোভে টাউন ব্যাংকের ক্ষমতা দখলের চেষ্টা চালাচ্ছেন।এমনকি লোকসভায় তৃণমূলের হারের কারণ হিসেবে চঞ্চল খাঁড়ার সাথে বিজেপি যোগের প্রশ্ন তোলেন।
এদিকে, অভিযোগের জবাবে চঞ্চল খাঁড়া জানান, প্যানেল তৈরি হয়েছে দলের উচ্চ নেতৃত্বের নির্দেশে। এখানে আমার কোনও ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত ছিল না। কেউ যদি অভিযোগ করে থাকেন, তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।
সমগ্র ঘটনায় বিজেপির দাবি সমবায় ব্যাংকের ভোট মানেই অর্থ রয়েছে,আর তাই তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে এসেছে।
এই ঘটনার জেরে সমবায় নির্বাচন ঘিরে তৃণমূলের অন্দরে চাপানউতোর আরও বেড়েছে বলে রাজনৈতিক মহলের অভিমত।